পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে দুশ্চিতা থাকলেও পরিযায়ী পাখিদের কলরবে উচ্ছ্বাস হুগলির হরিপালের বলদবাঁধে

2nd April 2020 হুগলী
পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে দুশ্চিতা থাকলেও পরিযায়ী পাখিদের কলরবে উচ্ছ্বাস হুগলির হরিপালের বলদবাঁধে


নিজস্ব সংবাদদাতা ( হুগলী ) : পাখির কলরবে ঘুম ভাঙছে হুগলীট  হরিপালের বলদবাঁধের গ্রামবাসীদের। চৈত্রের মাঝ মাসে দেখা মিলছে পরিযায়ী পাখি। হরিপালের বলদবাঁধ গ্রামে রয়েছে পাঁচটি বড় জলাশয়। প্রতিবছর শীত কালে আসে পাখিরা। মাঘের শেষে পাখিরা জলাশয় ছেড়ে পাড়ি দেয় অজানা স্থানে। কিন্তু এই অসময়ে জলাশয়ে এই পাখি দেখে আশ্চর্য হয়েছে গ্রামবাসীরা। তবে তারা জানিয়েছে, লকডাউন চলাকালীন পরিবেশের ভারসাম্য এখন সুন্দর পরিবেশের পরিবর্তন হয়েছে। চারিদিকে কারখানা বন্ধ, হাতে গোনা গাড়ি চলছে, শুনশান এলাকার রাস্তাঘাট। ফলে বর্তমানে প্রকৃতি তৈরি হয়েছে দুষণমুক্ত। ফলে শুধু বলদবাঁধ গ্রাম নয়। সর্বত্রই শোনা যাচ্ছে পাখির ডাক। এমনকী গ্রাম ছাড়িয়ে শহরে ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক। দেখা মিলছে চড়ুই, দোয়েল, ঘুঘু, ময়না পাখিদের। করোনা লকডাউন এর জেরে যে দুষণমুক্ত পৃথিবী নতুনভাবে তৈরি হয়েছে, তা বিশ্বকে আরো পাঁচ বছরের আয়ু বাড়িয়ে দেবে। আগামীদিনে দূষণমুক্ত পৃথিবী গড়তে গেলে বছরে অন্তত একদিন লকডাউন করা হোক। একদিনের লকডাউনের জন্য অর্থনৈতিক পরিকাঠামো যদি ভেঙেও পড়ে তাতে কোনো ক্ষতি হবে না। অন্তত  আগামী প্রজন্ম দুষণমুক্ত পৃথিবী তৈরি হবে। পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে যখন নানা জায়গায় চিন্তা , এক জায়গা থেকে আর এক জায়গায় যাতায়াতে বাধা , তখন মেঘমুক্ত আকাশে পরিযায়ী পাখিদের ডানা ঝাপটানোর শব্দ নতুন করে বাঁঁচার রসদ যোগান দিচ্ছে ।

ভিডিও লিঙ্ক

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=704219317013748&id=219524035483281





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।